মানুষ তার চাকরির পাশাপাশি ছুটির দিন অথবা অবসর সময়ে কিছু একটা করে সময় কাটাতে চাই। আর সেই কিছু একটা করে সময় কাটানোর পাশাপাশি এক্সটা ইনকান এবং ফেমাস হওয়া যায় তাহলে মন্দ কিসের। বুদ্ধিমান লোকেরা চাকরির পাশাপাশি ছুটির দিন অথবা অবসরে চিন্তা করে কি করা যায়। অনেকে চিন্তা করে যদি ঘরে বসে কিছু একটা করে ইনকাম করা যায়। যেই ভাবা সেই কাজ অর্থাৎ তারা ফ্রিল্যান্সিং করার চেষ্টা করে। ফ্রিল্যান্সিং বলতে আমরা সাধারণত বুঝি ওয়েবসাইট ডেবলাপ, ওয়েবসাইট ডিজাইন, গ্রাফিকস ডিজাইন, লগু, টি সার্ট ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, ডাটা এন্ট্রি, ইমেইল মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, SEO, মানে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন, ইথিক্যাল হ্যাকিং, ইত্যাদি আরো অনেক কিছু এর আওতায় আছে। এগুলা করলে আপনি টাকা ইনকামের পাশাপাশি আপনি ফেমাস হতে পারেন আবার না ও হতে পারেন।
তবে এমন একটা ফ্রিল্যান্সিং পেশা আছে যেটা করলে আপনি টাকা ইনকামের ছেয়ে ফেমাস হবেন বেশি। এই পেশাটা আগে ছিল, তবে তখন মানুষ জন তখন এই পেশাটাকে এইরকম ভাবে গ্রহণ করে নাই।
হে, আমি কন্টেন্ট ক্রিয়েট এর কথা বলছি। বর্তমানে তরুন তরুণীরা কন্টেন্ট ক্রিয়েট করে যতটা না টাকা ইনকাম করছে তার ছেয়ে বেশি ফেমাস হচ্ছে। আবার যারা কন্টেন্ট ক্রিয়েট করে ফেমাস হচ্ছে তাদেরকে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল উপস্থাপনের মাধ্যমে প্রমোট করছে, মানে আরও পরিচিতি বাড়িয়ে দিচ্ছে।
কন্টেন্ট ক্রিয়েট করা যায় বিভিন্ন মাধ্যমে যেমনঃ- ফেইসবুক, টিকটক, ইউটিউব, ইন্সট্রাগ্রাম, ইত্যাদি। তবে টিকটক এবং ফেইসবুক এর মাধ্যমে খুব তারাতাড়ি ভাইরাল ও ফেমাস হওয়া যায়। তাই সবাই টিকটক এবং ফেইসবুক টাকে বেছে নিচ্ছে।
ফেইসবুক তাদের মনিটাইজেশন আগের থেকে সহজ করে দিয়েছে, আগে লাগত ৬০০ হাজার ঘন্টা ওয়াচটাইম এখন লাগে ৬০ হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম এবং ১০ হাজার ফলোয়ার।
আর ইউটিউব তাদের আগের নিয়ম অই রেখেছে ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার এবং ১ বছরের ভিতরে ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম। এবং কপিরাইট মুক্ত ভিডিও। অনেক আগে একটা সময় ছিল যখন ইউটিউব এতটা ইন্টেলিজেন্ট ছিলনা, তখন তারা এইভাবে কপিরাইট ধরতে পারত না। তখন একজন আরেক জনের ভিডিও সামান্য কিছু এডিট করে ইউটিউবে আপলোড দিতে পারত। কিন্তু এখনকার ইউটিউব খুব ইন্টেলিজেন্ট যার কারণে আপনি হাজার চেষ্টা করলেও অন্যর ভিডিও আপনি ইউটিউবে প্রকাশ করতে পারবেন না।
এখন আসি আসল কথায় যিনি একজন বিজ্ঞানী হয়েও অবসরে কন্টেন্ট ক্রিয়েট করেন। তিনি আর কেও নন যিনি বিদেশের মাটিতে বসে নিজের দেশের ভালবাসায় বাংলা ভাষায় কন্টেন্ট তৈরি করেন।
আজ কথা বলব এমন একজন তরুন বিজ্ঞানী সম্পর্কে যার জন্ম বাংলাদেশে কিন্তু বেড়ে ওঠা সুইডেনে। বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্য গবেষণার কাজে আছেন। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন কন্টেন্ট ক্রিয়েট করে যাচ্ছেন।
সর্ব প্রথম তিনি ১ বছর আগে ভিডিও প্রকাশ করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। খুব অল্প দিনেই তিনি ফেমাস হয়ে যান। তেমন কোনো প্লান ছাড়াই তিনি কন্টেন্ট ক্রিয়েট করা শুরু করেন। কারণ উনি এবং ওনার হাসবেন্ড উনারা দুইজন অই খুব বিজি ছিলেন তাদের ক্যারিয়ার নিয়ে। D Raysa khan উনি একজন Scientist হিসেবে কাজ করেছেন একটা বায়োটেক কোম্পানিতে। তার পাশাপাশি তিনি ও তার স্বামী বিভিন্ন ধরনের রান্নার ভিডিও করেন। এবং যখন মাঝেমধ্যে ঘুরতে যান সেই মুহুর্ত টাকে ও ফেলে দেননা ভিডিও করে ইউটিউব এবং ফেইসবুক পেজ এ আপলোড দিয়ে দেন। দিনে দিনে তাদের ফলোয়ার এবং সাবস্ক্রাইব এর সংখ্যা রাতারাতি বাড়তেছে। প্রথমে রাইসা দম্পতি নিজেদের জন্য এবং তাদের বন্ধুদের জন্য বিভিন্ন খাবার আইটেম রান্না করতেন, তারপর সেই বন্ধুরা তাদেরকে উৎসাহিত করেন যেন সেই রান্নার ভিডিও ইউটিউব এবং ফেইসবুক এ আপলোড দেওয়া। তাদের বন্ধুদের অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে ভিডিও ছাড়ার কাজ শুরু করেন। ইনাদের চাকরির ব্যাস্থতার কারনে উনারা নিয়মিত ভিডিও আপলোড দিতে পারেন না।
আর দেরি কেন? আপনি ও ফেইসবুক এ অথবা টিকটকে, ইউটিউব এ শুরু করুন ভিডিও আপলোড। এবং একটা সময় টাকা ইনকাম করা শুরু করুন।
অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে কিভাবে করব কি ভিডিও করব? আমার ত কোনো আইডিয়া নাই। ইত্যাদি নানা ধরনের প্রশ্ন আসতে পারে।
আমি বলব ভাই, আপনি এটাকে প্রথমে পার্ট টাইম হিসেবে নেন। তারপর আসতে আসতে যখন দেখবেন আপনার ভিডিও গুলা দর্শক প্রিয় হচ্ছে তখন পুরাদমে শুধু করুন ।
আবার প্রশ্ন আসতে পারে কি ধরনের ভিডিও বানাবো?
তার একটা সহজ উত্তর হচ্ছে যে ভিডিও ইউটিউব অথবা ফেইসবুক এ নাই বা কম সেই ভিডিও বানালে ভাল। কোন ভিডিও ফেইসবুক অথবা ইউটিউব এ নাই তা নিয়ে গবেষণা কিছুটা গবেষণা করতে পারেন। এই একটা বিষয় নিয়ে গবেষণা করলে আপনি অনেক উত্তর পাবেন৷
যেমনঃ- কোন ভিডিও বেশি ভিউ হয়। কোন ভিডিও সহজে বানানো যায়৷ কোন মানুষের উপকারে আসে। কোন ভিডিও মানুষকে বিনোদন দেয়। কোন ভিডিও মানুষকে খারাপ বানায়। অবশ্যই মানুষকে খারাপ বানায় অথবা তাদের সময় নষ্ট করে অইসব ভিডিও বানানো থেকে বিরত থাকা উচিৎ।
অনেকে বলবে ভিডিও রেকর্ড করার জন্য ত আমার DSLR ক্যামেরা নাই ।
আমি বলব প্রাথমিক ভাবে শুরু করার জন্য আপনার হাতের স্মার্টফোনটি যতেষ্ট৷ আর আজকাল ভিডিও আপলোড করা খুবই সহজ। আপলোড করার সময় কিছুটা এডিট ও করা যায়।
এখন অনেকে বলবেন ভাই আপনি একটা কিছু সহজ কিছু সিলেক্ট করে দেন যেন খুব সহজে ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করতে পারি।
উত্তরে আমি বলবো, অনেক সহজ টপিক আছে যেগুলা করে আপনি খুব সহজে ভিউ পেতে পারেন।
আজকাল ভিউ এবং সাবস্ক্রাইব কিনতে পাওয়া যায়৷ কত সহজ না ব্যাপারটা?
ধরুন আপনার ইউটিউব চ্যানেল এ ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচটাইম পুর্ন হয়েছে৷ কিন্তু সাবস্ক্রাইব এর সংখ্যা ৮০০ আরো ২০০ হলে এডসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারবেন । এখন ২০০ সাবস্ক্রাইবার ইচ্ছে করলে আপনি কিনতে পারেন খুব কম দামে। এমনকি আপনি চাইলে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার ও কিনতে পারেন মাত্র ১০০০ টাকায়।
এখন বলব কি কি বিষয়ে ভিডিও করলে ভাল ভিউ সাবস্ক্রাইবার এন্ড এডসেন্স পাবেন তারাতাড়ি।
সেইটা আপনি অল্প কিছুদিন গবেষণা করলে পেয়ে যাবেন।
তারপর ও আমি বলছি। আজকাল ইউটিউব অথবা ফেইসবুক এ সর্ট ভিডিও বেশি ভিউ পাচ্ছে। ইউটিউব এ যদি সর্ট ভিডিও তে আপনি ১০ মিলিয়ন ভিউ আর ১০০০ সাবস্ক্রাইব আনতে পারেন তাহলে আপনি খুব সহজে এডসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আর ফেইসবুক এ ভিডিও হতে হবে ১ মিনিট এর উপরে এবং ফলোয়ার হতে হবে ১০ হাজার ও ওয়াচটাইম হতে হবে ৬০ হাজার৷ তাহলে আপনি খুব সহজে এডসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং এডসেন্স পেয়েও যাবেন।
এখন বলি কোন ধরনের ভিডিও আপলোড দিবেন
আমি আমার ব্যাক্তিগত গবেষণা থেকে বলছি অন্য কারো সাথে মিল না ও হতে পারে।
আমি যখন আমার এক বছরের ছেলের কান্না থামাতে মুবাইল দিয়ে ইউটিউব এ গেলাম কিছু একটা দেখাতে তখন সর্ট ভিডিও দেখতে। বলে রাখি বাচ্চারা সাধারণত সর্ট ভিডিও দেখে, বড় ডিউরেশন এর ভিডিও দেখে না। তাদের যেটা ভাল লাগে এক জাইগায় বসে অনেকবার একই ভিডিও দেখে।
বাচ্চারা সাধারণত কুকুর, বিড়াল, বানর, কারটুন, এলিয়েন ডান্স, বিভিন্ন কার্টুন ভিডিও দেখে৷
আমি এমনো দেখেছি, দুইটা বিড়াল জগড়া করতেছে সেই সর্ট ভিডিও মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ হয়েছে।
আমি আরো দেখেছি, একটা বাচ্চা নুডলস খাচ্ছে সেই সর্ট ভিডিও ১০২ মিলিয়ন ভিউ হয়েছে। একটু চিন্তা করে দেখেন যেখানে ১০ মিলিয়ন দরকার সাবস্ক্রাইব এর জন্য সেখানে ১০২ মিলিয়ন একটা ভিডিও তে ভিডিও হয়েছে।
একটা সময় ইউটিউব এ সর্ট ভিডিও অপশন ছিলনা।
সর্ট ভিডিও চালু হওয়ার পর, এখন অনেকেই এই সর্ট ভিডিও অপশন টাকে কাজে লাগিয়ে খুব সহজে তাদের চ্যানেল মনিটাইজেশন অন করতে পেরেছে।
আমি এমনও দেখেছি, অনেকগুলা কুকুর জগড়া করতেছে সেই ভিডিও মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ হয়েছে।
আবার দেখেছি কার্টুন এর কাটবিড়ালীর ডান্স ভিডিও মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ হয়েছে।
এররকম হাজার হাজার অপশন আছে,
যেকোনো একটা বা তার বেশি ও বেচে নিতে পারেন যদি আপনার যতেষ্ট সময় থাকে।
আর হে একবার ট্রাই করলে মন্দ নয়।
ধরুন আপনি চেষ্টা করলেন কিন্তু সফল হলেন না।
তারপর আবার অন্য ধরনের ভিডিও আপলোড দিন।
এভাবে চেষ্টা করতে থাকলে একসময় আপনার ভাল একটা অভিজ্ঞতা হবে। তখন আপনি নিজেয় বুজবেন কোনটা করলে আপনার জন্য সুইটেবল হবে।
তবে আরেকটা কথা বলি সবাই কিন্তু একটি পেশায় হুমরি খেয়ে পরলে চলবে না। কিন্তু আমরা বাংগালীরা এটাই করি। আগে দেখতে হবে এই পেশায় চাহিদা কেমন।
কারন আমি দেখেছি কোন অঞ্চলে যদি চাহিদার তুলনায় বেশি ফসল উৎপাদন করা হয় তখন সেই ফসলের দাম কমে যাই৷
যেমন, চাহিদার তুলনায় যদি ফ্রিল্যান্সার বেড়ে যায়, তাহলে কাজের মুল্যে কমে যায়।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সারদের এই অবস্থা।
যাইহোক এই বিষয়ে আরেকদিন কথা বলব।
কারণ এমনিতে এই পোস্ট টা অনেক বড় হয়ে গিয়েছে।
কারণ এটা ছোট করার মত আমার সময় নাই।
Tag:- বিজ্ঞানী হয়েও যিনি কন্টেন্ট ক্রিয়েট করেন। one kind of freelancing is content create for youtube or Facebook. D Raysa Khan. কিভাবে ফেইসবুক অথবা ইউটিউব থেকে ভিডিও আপলোড দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়। Facebook reel, YouTube Short. How to content create for youtube and Facebook.
0 Comments